গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- গাজর খাওয়ার নিয়ম
গাজর মানুষের খুব পছন্দের একটি সবজি এবং গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অনেক। গাজর শীতকালীন সবজি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বর্ণের গাজর দেখা যায় যেমন লাল, সাদা, হলদে ইত্যাদি। আমাদের দেশে কমলা রঙের গাজর জন্মায়। গাজর দেখতে যেমন সুন্দর আকর্ষণীয় তেমনি গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও রয়েছে প্রচুর।
গাজর খেতে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিতেও ভরপুর। গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা গাজরকে বড় এবং সুন্দর হতে সাহায্য করে। গাজর নিজে যেমন সুন্দর এবং আকর্ষণীয় তেমনি এটি মানুষের রং সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করে। গাজর মানুষের জন্য একটি সহজলভ্য সবজি যা মানুষের সাধ্যের মধ্যে।
ভূমিকা
সবজি হিসেবে গাজরকে মানুষ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে। যেমন মাছ মাংসের সাথেও গাজর খাওয়া যায় এছাড়া গাজরের হালুয়া মানুষের অতি প্রিয়। আর সালাত হিসাবে তো গাজরের কোন জুড়ি নেই। গাজর এমন একটা সবজি যা কাঁচা খেতে অনেক সুস্বাদু। মৌসুমির সময় পুষ্টি সমৃদ্ধ এই সবজিটির বাজার মূল্য অনেক কম। এই সবজির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা থাকলে এর বাজার মূল্য অনেক বেশি হতো।
গাজর খাওয়ার উপকারিতা
গাজর খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী গাজরে যে পুষ্টিগুণ থাকে তা অন্যান্য সবজির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। গাজর মানুষের দেহের বিভিন্ন উপকার সাধিত করে তা নিচে বর্ণনা করা হলো ঃ
আরো পড়ুনঃকালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
গাজরের যে আকর্ষণীয় বর্ণ রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এর ঔষধি গুণ। গাজরের মধ্যে যে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে তা নিজে থেকেই ভিটামিন এতে রূপান্তরিত হয় যা মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গাজরের এই বিটা ক্যারোটিন মানুষের দেহের ভেতরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভিটামিন এতে রূপান্তরিত হয় যা মানুষের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিবছর আমাদের দেশে ৩০ থেকে ৪০ হাজার শিশু ভিটামিন এ এর অভাবে অন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত ৫ মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুরাই চোখের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে। প্রতিবছর প্রায় পাঁচ লাখ শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত হয়। এ সমস্যা সমাধানে শিশুকে অবশ্যই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। আর গাজরে রয়েছে ক্যারোটিন যা ভিটামিন-এ এর উৎস। তাই শিশুকে প্রতিদিন বিশেষ করে মৌসুমের সময় গাজর খাওয়ানো দরকার।
- দাঁত ভালো রাখতে গাজর
দাঁত সুস্থ এবং মজবুত রাখতে গাজর খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কাঁচা গাজর চিবানো প্রাকৃতিক টুথ ব্রাশ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এটি গহুর লড়াইকারী সবজি হিসেবে দীর্ঘ পরিচিত। গাজরে প্লাক ফাইটিং কেরাটিন এবং ভিটামিন এ অনেক বেশি থাকে যা সূক্ষ্ম দাঁতের এনামেলকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে গাজর ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করে। গাজর পলি এসিটিলিন এবং ফালকারিনাল জাতীয় উপাদানের সমৃদ্ধ যা ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য গুলো প্রদর্শন করতে সাহায্য করে। সুতরাং বলা যেতে পারে গাজর ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলির বিকাশ রোধ করতে সাহায্য করে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত গাজর খাওয়ার উপকারিতা হিসাবে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে। কিন্তু ক্যান্সার এমন একটি রোগ যা নিরাময় করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রয়োজন। গাজর বা অন্য কোন রেসিপি দ্বারা এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়।
- হৃদপিণ্ড ভালো রাখে
হার্টের রোগীদের জন্য গাজর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গাজর রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রান্না করা গাজর বা কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি গাজর রসেরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে গাজর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব বাড়াতে এবং লিপিড পারক্সিডেশন(শরীরের লিপিড গুলোকে ফ্রি রেডিকেলের প্রভাব) কমাতে সাহায্য করে। যা কারডিওভাস্কুলার রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে সাহায্য করে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে
ফাইবারের জন্য গাজর একটি ভালো উতস। ফাইবার অন্ত্রের চলাচলের সাহায্য করে। হাজাম ব্যবস্থাটি সুচারুভাবে চালাতে গাজর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর সাহায্যে খাবার হজম হয়। এজন্য খাবারের সাথে সালাত হিসাবে গাজর খাওয়া যেতে পারে।
- ওজন কমাতে গাজরের উপকারিতা
যারা নিজেদের ওজন কমাতে চায় তাদের জন্য বেশি পরিমাণে শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। কেননা শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার আস্তে আস্তে খাবার হজম করতে এবং এবং দীর্ঘ সময় ধরে পুরো পেটের অনুভূতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
যা কোন ব্যক্তিকে কম খেতে বা ওজন কমাতে সাহায্য করে। গাজর প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যুক্ত একটি সবজি যা মানুষের ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একই সাথে এতে ক্যালোরি কম থাকে ফলে এটি ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে
গাজরে অবস্থিত ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং আন্টি অক্সিডেন্টে বলিরেখার বিরুদ্ধে লড়াই করে পিগমেন্টেশনকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বক টানটান উজ্জ্বল এবং সুন্দর হয় ।
- হাড় সুস্থ রাখে
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। আর এই উপকারী খনিজ মানুষের শরীরের হাড় এবং দাঁত গঠনে এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে
গাজরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং বিটা ক্যারোটিন যা শুক্রানু তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যে সব পুরুষেরা নিয়মিত গাজর খায় তাদের শরীরে শুক্রাণুর পরিমাণ অনেক বেশি। যেসব পুরুষ শারীরিকভাবে অক্ষম তারা যদি প্রতিদিন দেড়শ গ্রাম গাজর কুচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ বয়েল ডিমের সাথে মিশিয়ে দুই মাস খেলে শারীরিক এই অক্ষমতা দূর হয়ে যেতে পারে।
কানের ব্যথার জন্য গাজরের উপকারিতা
সর্দি কাশি বা অন্য কোন অসুস্থতার সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে কানে ব্যথা হয়। এ সময় স্বস্তির মাধ্যমে হিসেবে গাজর ব্যবহার করা যেতে পারে। কলা গাজর আদা এবং রসুন একসাথে পানিতে সিদ্ধ করে এক থেকে দুই ফোঁটা কানে ব্যবহার করলে ব্যথা কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে
গাজর খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। গাজরের জুস শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাজর রক্ত পরিষ্কার করতেও ভূমিকা পালন করে। ডায়রিয়া নিরাময় করতে গাজরের ছোপ বেশ উপকারী। কৃমিনাশক হিসেবে গাজর ভালো প্রতিষেধক। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে গাজরের সঙ্গে কয়েক কোয়া রসুন মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে গাজরের ভূমিকা অনেক। দেহের চর্বি কমাতে গাজরের রস সাহায্য করে। গাজরের বিদ্যমান ফাইবার কোলন পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তের প্রধান উপাদান আরবিসি কে দীর্ঘজীবী করতে গাজরের ভূমিকা অনেক। এর ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর সাথে সাথে ত্বকের উপকারী কোলেস্টেরল বা লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। গাজরের পুষ্টিগুণ ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বের করে দেয় যা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
গাজর রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কিডনির রোগীতে আক্রান্ত এবং ডাইবেটিস রোগীরা মিষ্টি জাতীয় গাজর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
শক্তি বৃদ্ধিতে গাজরের ভুমিকা
দেহের শক্তি এবং বিকাশের জন্য আবশ্যকীয় প্রোটিন , শক্তিদায়ক উপাদান এবং কো-হাইড্রেট প্রচুর পরিমাণে গাজরে রয়েছে। সব ধরনের জ্বর, দুর্বলতা , নারী সম্পর্কিত বিকার ইত্যাদির প্রতিকার হিসাবে গাজর এর রস কার্যকরী ভেষজ ঔষধ।
যেকোনো বড় ধরনের অপারেশনের পর দেহে রক্তের ঘাটতে হয়, আরে ঘাটতি পূরণে গাজর বেশ উপকারী।
গর্ভাবস্থায় গাজর খাওয়ার উপকারিতা
নিয়মিত গাজর খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সহজে সমাধান হতে পারে। এছাড়া অনেক গর্ভবতী মহিলা গর্ভ অবস্থায় শিরায় টান লাগাবা বেশি শক্ত হয়ে যাওয়া অনুভব করতে পারে। গাজর এসব সমস্যার ভালো প্রতিষেধক। গাজর অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধেয় সাহায্য করে।
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে যা অনাগত সন্তানের হার ও তরুণাস্তির গঠনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ।
হাড় মজবুত করতে গাজরের উপকারিতা
গাজরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম যা হার মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গাজর খাওয়ার অপকারিতা
- গাজর দেখতে যেমন আকর্ষণীয় ঠিক তেমনি খেতেও সুস্বাদু এবং গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অনেক। এর মানে এই নয় যে আপনি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন কেননা বেশি পরিমাণে গাজর খেলে আপনি কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন।
- গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যার শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ করে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এটি শরীরকে বিবর্ণ করে দিতে পারে।
- গাজর বেশি পরিমাণে খেলে হজমের ব্যাধি যেমন গ্যাস, ডায়রিয়া , পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
- যেসব মায়েরা বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছেন তাদেরকে সীমিত পরিমাণে গাজর খাওয়া উচিত কেননা বেশি পরিমাণে গাজর খেলে মায়ের দুধের স্বাদ পরিবর্তন হতে পারে।
- গাজর খাওয়ার প্রবণতা সব বাঙালির মধ্যে কম বেশি রয়েছে। বাচ্চার টিফিন, ভেজিটেবল চপ এছাড়া বিভিন্ন সবজির সাথে মিশিয়ে গাজর খাওয়া যায়। অন্যদিকে গাজরের সালাত তো মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। আবার কেউ কেউ শরীরকে চাঙ্গা রাখতে প্রতিদিন সকালে গাজরের রস খেয়ে থাকেন। এর কিছু অপকারিতা থাকলেও গাজর খাওয়ার উপকারিতায় বেশি। তাই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে আপনাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় গাজরকে যুক্ত করুন।
গাজর খাওয়ার সঠিক নিয়ম
কাঁচা গাজরের পুষ্টিগুণ বেশি নাকি রান্না করা গাজরের পুষ্টিগুণ বেশি , গাজরের পুষ্টিগণ নিয়ে এরকম মতবিরোধ রয়েছে। পুষ্টি বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে রান্না করা গাজর এবং কাঁচা গাজরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
গাজরে যে বিটা ক্যারোটিন থাকে তা রান্না করে খেলে শরীরে আরও ভালোভাবে শোষিত হয়। সাধারণত উচ্চতাপে সবজি রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ হারায়। কিন্তু গাজরের ক্ষেত্রে হয় এর উল্টোটা। গাজর রান্না করলে এর ক্যারোটিনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন আরো বেশি উপকারী হয়।
রান্না করা গাজর উপকারে তার মানে এই নয় যে গাজর কাঁচা খাওয়া যাবেনা। গাজরের নিজস্ব কিছু উপকারিতা রয়েছে যা রান্না করে বা কাঁচা খেলে যেকোনো ভাবেই পাওয়া যায়। গাজর টুকরা করে কেটে কুচি করে সালাত বানিয়ে, ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যায়।
লেখকের মন্তব্য
উপরিক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম গাজর আমাদের কিভাবে উপকার এবং অপকার করে থাকে। গাজর আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রচুর পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে থাকে পাশাপাশি এটিকে ওষুধ ও বলা যেতে পারে, কারণ পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এটি আমাদের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
এতক্ষণ ধরে আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে জানাই ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল বা আপনার কাছে ভালোলাগা আরো অনেক পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন, কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন এবং শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url