বন্যা থেকে নিরাপদ থাকতে আমাদের করণীয়
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের অন্যতম হলো বন্যা। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে বন্যা হয়। বর্তমানে সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। বন্যা থেকে নিরাপদ থাকতে আমাদের করণীয় মানুষকে সচেতন করে তোলা।
বন্যার কারণে ছোট বড় ধনী গরিব সবারই সমস্যা হয়। বন্যা মোকাবেলা করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে নিজের এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। নিজের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারলে আর বাকি সবকিছু সামনে নেওয়া যাবে। তাই সবার আগে দরকার নিরাপদ থাকা।
ভূমিকা
সাধারণত বাংলাদেশে জুন সেপ্টেম্বর মাস বন্যা মৌসুম। এদেশের বৃহৎ নদীগুলো পাহাড়ি বৃষ্টিপাত ও হিমালয়ের বরফ গলা পানি প্রায় প্রতিবছরই বন্যা ঘটায়। দেশের প্রায় ৭১% মানুষ প্লাবনভূমিতে বাস করে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, নগরায়নের চাপ, জলবায়ু পরিবর্তন, , ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, নদীর পানি প্রবাহের গতিপথ পরিবর্তন সহ নানাবিধ কারণে বাংলাদেশের বন্যা ঝুঁকির প্রবণতা বেশি।
বন্যা থেকে নিরাপদ থাকতে আমাদের করণীয়
বন্যা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য আমাদের প্রথমত সচেতন হতে হবে। এছাড়া ও বন্যা থেকে নিরাপদ থাকতে আমরা যা করতে পারি সে সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হলো
নিরাপদ স্থান নির্বাচন করুন
বন্যা থেকে নিরাপদ থাকতে আমাদের নিরাপদ স্থান নির্বাচন করতে হবে। যাতে করে বন্যার সময় আমরা এই নিরাপদ স্থানে যেতে পারি। কেননা বন্যা পানি আরো বাড়তে থাকলে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
এ সময় নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য দুর্যোগ সেল্টার বা কোন নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। এ সময় সাহসিকতার সাথে সাময়িক সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য দুর্যোগ কবোলিতদের ও সাহায্য করুন।
খাবার সংরক্ষণ করুন
বন্যা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সংকট হতে পারে খাবারের। তাই বন্যার সময় খাবার সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। অনেক বেশি কিছু সম্ভব না হলেও অন্তত শুকনো খাবার সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। দুর্যোগের সময় এসব খাবার খুবই উপকারী হবে। শুকনোস্থানে খাবার গুলো সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলতে হবে কেননা এ সময় রোগ বালাই বেশি হয়। আর অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে সময় মতো চিকিৎসা নাও মিলতে পারে।
বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখুন
বন্যা পরিস্থিতিতে বন্যার পানিতে নানা রকমের জীবাণু মিশে থাকে। এ সময় পানি পানে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় পানি ফুটিয়ে কিংবা ফিটকারি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করে পান করতে হবে। সম্ভব হলে ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে। এ সময় পানিবাহিত রোগ বেশি হয় সুতরাং কোন অবস্থাতেই পানি বিশুদ্ধ না করে পান করা যাবে না। সামান্য একটু ভুল মারাত্মক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
শিশুর দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন
শিশুরা অবুঝ তাই তারা ক্ষতিকর জিনিসের প্রভাব বুঝতে পারে না। শিশুরা পানি নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। বন্যা পরিস্থিতিতে শিশুরা বন্যার পানি নিয়ে খেলায় মেতে উঠে ফলে অনেক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এছাড়াও বন্যার পানির মাধ্যমে শিশু শরীরে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। সুতরাং এই সময় শিশুর প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে এবং শিশুর খাবারের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে।
পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে
বন্যার সময় সাপসহ বিভিন্ন রকমের পোকামাকড়ের উপদ্রব আরো বেশি হয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে পোকামাকড় দূর করার জন্য ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে এই ওষুধগুলো যেন শিশুদের নাগালের বাইরে থাকে।
বন্যা হলে কি কি সমস্যা হতে পারে
বন্যার সময়-ময়লা- আবর্জনা, মানুষ ও পশু পাখির মলমূত্র এবং পরনিষ্কাশন ব্যবস্থা একাকার হয়ে বন্যার পানির সাথে মিশে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর এভাবেই সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে পেটের পিড়া, ডায়রিইয়া, কলেরিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগের সংক্রমণ দেখা যায়, এছাড়া কৃমির প্রকোপ বেড়ে যায়।
বন্যার আগে, বন্যার সময় এবং পরে নিরাপদ থাকার উপায়
বন্যা থেকে নিরাপদ থাকতে আপনি বন্যার কবলে পড়ার আগেই উঁচু জায়গায় চলে যান। সরিয়ে নেওয়ার আদেশগুলো অনুসরণ করুন এবং সতর্কতামূলক চিহ্ন গুলি মেনে চলুন। আপনার বাড়ি খালি করার আগে আপনার হাতে সময় থাকলে ইউটিলিটি এবং যন্ত্রপাতি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। সর্বদা বন্যার পানি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন কারণ এগুলো দিয়ে গাড়ি চালানো বা হাটা বা বন্যার পানি ব্যবহার করা নিরাপদ নয়।
বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্তদের করণীয় কি
ওষুধ, খাবার বা পানি যা বন্যার পানি সাথে মিশে গেছে সেগুলো ফেলে দিন। পানির বিশুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ হলে সেই পানি ১০ মিনিটের মতো ভালো করে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে ব্যবহার করুন। বন্যা কবলিত এলাকায় শিশুদের খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন। বাড়িতে বা ঘরে আলো এবং বায়ু চলাচলের জন্য জানলা দরজা খুলে দিন।
আকর্ষিক বন্যা প্রতিরোধের উপায়
আকস্মিক বন্যা থেকে নিরাপদ থাকতে আমাদের করণীয় হচ্ছে পানির ব্যাকআপ রোধ করতে নর্দমা ফাঁদে চেক ভালব ইনস্টল করা। নিম্ন স্তরের বন্যার পানিকে বেসমেন্টে প্রবেশ করা বন্ধ করতে অভ্যন্তরীণ বাধা তৈরি করতে হবে। পানির রোদ করতে পারে এমন যৌগ দিয়ে বেসমেন্টে দেওয়াল সিল করুন যাতে ছিদ্র এড়ানো যায়। বেসমেন্ট থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং সম্পত্তি সরিয়ে ফেলুন।
আকস্মিক বন্যার প্রভাব
আকস্মিক বন্যা বোল্ডার রোল করতে পারে। বড় বড় বিল্ডিং এবং ব্রিজ ধ্বংস করে দিতে পারে। গাছ উপড়ে ফেলতে পারে, এছাড়া ক্রমবর্ধমান বন্যার পানি ৩০ ফুট বা তার বেশি উচ্চতায় পৌঁছে মারাত্মক আঘাত হানতে পারে। অধিকন্তু আকসিক বন্যা উৎপাদনকারী বৃষ্টি ও বিপর্যয় কর কাঁদা স্লাইডকে ট্রিগার করতে পারে।
বন্যা দুর্গত মানুষের সাহায্যে তোমরা কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে
ত্রাণ কেন্দ্রগুলোতে যাতে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নজর রাখতে হবে। বন্যা দুর্গত এলাকায় ওষুধ এবং বিশুদ্ধ পানি ও খাবার পাঠাতে হবে। বন্যা কবলিত এলাকার সকলকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ এবং প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বন্যার পূর্বে মৎস্য চাষীর ও উদ্যোক্তা গণের করণীয়
বন্যা থেকে নিরাপদ থাকতে নতুন কোন পুকুর বা জলাশয় খননের ক্ষেত্রে বন্যা মুক্ত এলাকা বেছে নিতে হবে। মাছ ছাড়ার পূর্বে পার মেরামত করে নিতে হবে যা পার উঁচু করতে হবে। পারে ইঁদুরের গর্ত থাকলে তা মেরামত করে নিতে হবে। বন্যার পূর্বে মৎস্য চাষীগণ পুকুর বা জলাশহর পাড় বানা বা নেট দিয়ে ঘিরে ফেলতে হবে।
পুকুর বা জলাশয়ে অপেক্ষাকৃত বড় মাছগুলো বন্যা আসার পূর্বে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যা কবলে তো হতে পারে এমন পুকুর বা জলাশয় এর ছোট মাছগুলোকে অন্য পুকুর বা জলাশয় স্থানান্তর করতে হবে। বন্যা পরবর্তী মজুদের জন্য পোনা প্রতিপালন করুন এবং পোনা উৎপাদনকারীদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
বন্যা কালীন মৎস্য চাষী ও উদ্যোক্তাগনের করনীয়
বন্যা কবলিত পুকুর বা জলাশয় হতে দ্রুত মাছ স্থানান্তর করতে হবে। দ্রুত পুকুর বা জলাশায়ের পার বানা বা নেট দিয়ে উঁচু করে ঘিরে ফেলতে হবে। পুকুর বা জলাশয় এর কোনায় বা মাঝে ঝোপঝাড় দিয়ে বাসের থাকার জন্য আশ্রয়স্থল বানিয়ে দিতে হবে।
মাছ যেসব খাবারে আকৃষ্ট হয় সেসব খাবার পুকুর পা জলাশয় এর খাদ্যদানিতে দিয়ে রাখুন। বন্যা পবলিত পুকুরের মাছ খাবি খাচ্ছে এমন লক্ষণ দেখা দিলে অক্সিজেন বর্ধক উপকরণ প্রয়োগ করতে হবে।
বন্যা পরবর্তীকালে মৎস্য চাষী ও উদ্যোক্তাগনের করণীয়
বন্যা পরবর্তীকালে পুকুর বা জলাশয় এর পাড় ভেঙে গেলে তার দ্রুত মেরামত করে নিতে হবে। আপনার পানির প্রবেশ করেছে কিন্তু সম্পূর্ণ পুকুর ভেসে যায়নি এমন পুকুরের পানি নেমে গেলে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম চুন, ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম লবণ ১৫ দিন পরপর দুইবার প্রয়োগ করতে হবে।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নতুন করে পোনা মজুদের জন্য প্রতি শতাংশে এক কেজি করে চুন দিতে হবে। ভালো জাতের বড় আকারের চার থেকে ছয় কেজি কার্প জাতীয় মাছের পোনা প্রতি শতাংশে ১৫ থেকে ২০ টি হারে মজুদ করতে হবে। পুকুর বা জলাশয় নিয়মিত এবং পরিমিতভাবে সুষম খাদ্য প্রয়োগ করতে হবে। সব সময় পুকুরের পানি এবং মাছ পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
বন্যার সময় যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা হয়
বন্যার সময় পানের উৎসগুলো সংক্রমিত হয় ফলে এ সময় পানিবাহিত রোগ বেশি হয়। আমাশয়, ডায়রিয়া, টাইফয়েড এবং হেপাটাইটিস এ ধরনের পানি বাহিত রোগ বেশি দেখা যায়। বিশুদ্ধ পানির অভাবে এবং দূষিত পানির প্রভাবে এই রোগ গুলো ছড়িয়ে থাকে।
বন্যার সময় আটকে থাকা পানিতে মশা সহজে বংশবিস্তার করে ফলে মশা বাহিত রোগ যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি এ সময় হয়ে থাকে।
বন্যা পরবর্তী সময়টিতে ফাঙ্গাস জনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময় নানা চর্মরোগ, চোখের রোগ হয়ে থাকে। আঙ্গুলের মাঝখানে ঘা, টিনিয়া ইনফেকশন এ সময় বেশি দেখা যায়। বন্যার সময় কৃমির প্রকোপ বেড়ে যায়।
আবহাওয়া ও তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে এই সময় নানা ভাইরাসজনিত রোগ যেমন সর্দি কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, গলা ব্যথা এবং সাইনোসাইটিস ইত্যাদি দেখা যায়।
বন্যা পরবর্তী সতর্কতা
বন্যা থেকে নিরাপদ থাকতে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তেমনি বন্যা পরবর্তী সময়ে আমাদের সতর্কতার সাথে কিছু কাজ করতে হবে। বন্যা পরবর্তী সময়ে মানুষ (দুই বছরের নিচে শিশু ব্যতীত) এবং গবাদি পশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।
শামুক মানুষ এবং পশু পাখির বিভিন্ন পরজীবী বা কৃমির পোষক হিসেবে কাজ করে। এসব শামুককে নিধন করতে হবে অথবা হাঁসের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া কৃমিনাশক ওষুধ প্রতি চার থেকে ছয় মাস অন্তর নিয়মিত খাওয়াতে হবে।
বন্যার সময় সাপ এবং ইঁদুর তাদের অবস্থান হারিয়ে মানুষের সাথে বসবাস করতে থাকে। এ সময় সাপ এবং ইঁদুর কামড় দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। বিষহীন সাপ কামড় দিলে ভয় নেই কিন্তু বিষধর সাপ কামড় দিলে কামড় দেওয়া জায়গার কাপড় বা গামছা বা রশি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে হাসপাতালে নিতে হবে। ইঁদুরে কামড় দিল অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক এর মন্তব্য
হাওয়ার এলাকা প্রাকৃতিকগতভাবেই বন্যা প্রবণ এলাকা। আর এ অঞ্চলের ৮০ভাগ জমিতে বোরো ধান চাষ হয়ে থাকে যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকারনের জন্য অপরিহার্য ও প্রধান উৎস। বন্যা কবল হতে বাংলাদেশের সমস্ত এলাকা বিশেষ করে হাওয়ার এলাকার প্রধান ফসল ধান রক্ষার্থে ধান - মাছ চাষের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বন্যা থেকে নিরাপদ থাকতে বা বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এতক্ষণ ধরে আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের পোস্টে পড়ার জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এরকম তথ্যবহুল ও আপনার কাছে ভালো লাগা আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েব সাইটটি বেশি বেশি ভিজিট করুন, কমেন্ট বক্সে আপনার মতামতো ভোট দিন এবং শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url