বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা ও বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের অবস্থা

ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একটি ধর্ম। আর ইসলাম ধর্ম যারা পালন করেন তারাই মুসলমান। কিন্তু বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা অনেক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশাল সাগরের মাঝে চালক হীন জাহাজের অবস্থা যেরকম হয় বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা ও বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের অবস্থা ঠিক সেরকম।
বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা

যেসব রাষ্ট্রের মানুষ বেশিরভাগই মুসলমান সেসব রাষ্ট্রকে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে ধরা হয়। মুসলিম এমন একটি জাতি, যারা সারা বিশ্বে ইসলামের স্লোগান ছড়িয়ে দিয়েছিল। মুসলমান এক এবং অদ্বিতীয় আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করেন এবং আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে না।

ভূমিকা

মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান, তার কিতাব এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও তার হাদিসের উপর অটল থাকার কারণে একসময় মুসলমান পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ইসলামের স্লোগান ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। মুসলমানেরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি, বীরের জাতি এবং বিজয় জাতি।

বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা

একসময় মুসলমানরা এত শক্তিশালী ছিল যে, বিশ্বের বড় বড় পরাশক্তি মুসলমানদের কাছে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা পুরো বিশ্বে খুবই করুন। বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা

আজ পৃথিবীর দিকে তাকালেই শুধু মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন অত্যাচার জুলুম এসব দেখা যায়। মুসলমানদের শ্রেষ্ঠ ঘর মসজিদ ভাঙার চিত্র আজ পৃথিবীর চারিদিকে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এছাড়াও মসজিদে জোরে আযান দেওয়া বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। আর মুসলমানদের এই পরিস্থিতির জন্য কিছুটা মুসলমানরা নিজেরাই দায়ী।
আরো পড়ুনঃযাকাত দানের ফজিলত
মুসলমানরা যদি আল্লাহর কুরআন এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেওয়া আদেশকে মেনে চলত তাহলে বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা এত করুন হতো না। আজকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের কার্যকলাপ নিয়ে কটুক্তি করা হয়। যেমন ইরানে সরকারি আইনে সকল মুসলমান নারীকে হিজাব পরিধান করা অপরিহার্য বলে ঘোষণা করা হয়।
এবং এই দেশে হিজাব পরিধান না করলে সেই নারীর জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা ও রয়েছে। মিশা আমিনি নামক এক 22 বছরের নারী এই আদেশ অমান্য করলে তাকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয় এবং কিছুদিন পরে তার মৃত্যু হয়। এই খবর পুরো বিশ্বের ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ শুরু হয়।
এছাড়া ভারতের মুসকান নামক এক মেয়ে হিজাব পড়ে কলেজে যাওয়ার সময় কিছু হিন্দু ছেলেরা তাকে কলেজে যেতে বাধা দেয়। এ সময় মেয়েটি আল্লাহু আকবার বলতে বলতে কলেজে প্রবেশ করে। এই ঘটনার পরে ভারতের কর্নাটকে হিজাব পরা বন্ধ করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে। কখনো ভারতের বাবরি মসজিদ আবার কখনো জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে।

বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের অবস্থা

বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের অবস্থা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো বিশ্বের জনসংখ্যা সম্পর্কে সবার আগে জানতে হবে। ২০০৯ সালের এ গবেষণায় দেখা গেছে যে, পুরো বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ মুসলমান। মুসলমানদের মধ্যে প্রায় ২০% এশিয়া মহাদেশেই বসবাস করে।
এশিয়া মহাদেশের ৮৫% লোক মুসলমান। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে আবার প্রায় অর্ধেক বসবাস করে দক্ষিণ এশিয়ায়।
উত্তর আফ্রিকায় ৩১ কোটি ৫০ লাখ মুসলমান বসবাস করে। ২৪ কোটি মুসলমান বসবাস করে নিম্ন সাহারা এলাকায়, যা মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় 15%। এছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রায় ৩০ কোটি মুসলমান বসবাস করে। মুসলমান জনসংখ্যা্র দিক থেকে ভারত বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এছাড়াও চিনে ২ কোটি ২০ লাখ মুসলমান বসবাস করে, রাশিয়ায় এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ বসবাস করে। এছাড়াও ইউরোপে প্রায় তিন কোটি ৮০ লাখ মুসলমান বসবাস করে।

বর্তমান মুসলমানদের অবস্থা ও পরিনাম

গোটা বিশ্বের মুসলমানরা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ থেকে দূরে সরে গেছে। এর ফলে তারা হচ্ছে নির্যাতিত নিপীড়িত। বর্তমান মুসলমানদের অবস্থা ও পরিনাম সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা

সৎ চরিত্রের অভাবঃ মুসলমানদের একটি অন্যতম গুণ হলো সৎ চরিত্র। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যার স্বভাব চরিত্র উত্তম'। তিনি আরো বলেন, 'তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার কাছে অধিক প্রিয়, যার চরিত্র উত্তম'। আর এই উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে ইহকাল এবং পরকালের কল্যাণ পাওয়া যায়।
পক্ষান্তরে চরিত্রহীন লোকের দুনিয়া এবং আখিরাতে ধ্বংস রয়েছে। বর্তমানে মুসলমানদের মধ্যে বিধর্মীদের আচরণ লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে মুসলমানরা লজ্জাহীন বা চরিত্রহীন হয়ে পড়েছে। এর ফলশ্রুতিতে বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা খুবই ভয়াবহ।
কথা ও কাজের অমিলঃ মুসলমানদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো কথা ও কাজের মিল থাকতে হবে। যার কথা ও কাজের মিল থাকে না তাকে সমাজের কেউ পছন্দ করেনা। সে সবার কাছে ঘৃণিত এবং নিন্দিত হয়ে থাকে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, "হে মোমিনগণ, তোমরা যা করো না তা কেন বল? তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক"।
যাদের কথা এবং কাজের মধ্যে মিল থাকে না তাদের প্রতি মহান আল্লাহ তা'আলা অসন্তুষ্ট হন। আর এই কাজের পরিণতি দুনিয়াতে যেমন অকল্যাণকর তেমনি পরকালে ভয়াবহ শাস্তির কথাও পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে।
ধৈর্যশীল না হওয়াঃ ধৈর্যশীলতা মুসলমানদের একটি অন্যতম গুণ। মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনের অনেক জায়গাতে ধৈর্যের কথা উল্লেখ করেছেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসীম ধৈর্যের অধিকারী ছিলেন। বিপদ-আপদ, ক্ষুদা, অত্যাচার-নিপীড়ন সবকিছুই তিনি অকাতরে সহ্য করতেন।
মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন, "তোমরা ধৈর্য এবং সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন"। এছাড়াও আল্লাহ তাআলা কুরআনে ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। দুনিয়াতে যারা ধৈর্যশীল তাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে এবং পরকালে মহান আল্লাহ তা'আলার কাছে রয়েছে পুরস্কার।
বড়দের সম্মান এবং ছোটদের স্নেহ না করাঃ বর্তমানে মুসলমানরা বিজাতীয় সংস্কৃতি অনুসরণের মাধ্যমে দ্বীন ধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে। বড়দের সম্মান এবং ছোটদের স্নেহ করা মুসলমানদের কর্তব্য। আজকাল মুসলমানদের অনেক যুবককে দেখা যায় যারা বড়দের সম্মান করা তো দূরের কথা তাদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ পর্যন্ত করে না।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'যে ছোটদের স্নেহ করেনা এবং বড়দের সম্মান করে না সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়'। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ইসলামের নির্দেশনা মত বড়দের সম্মান করা এবং ছোটদের স্নেহ করা।
প্রকৃত দ্বীন থেকে সরে যাওয়া এবং বিদআতে নিপতিত হওয়াঃ বর্তমানে মানুষ শরীয়ত, তরিকত, মারেফোত, হাকিকত ইত্যাদির কবলে পড়ে প্রকৃত দ্বীন থেকে সরে আসছে। আবার কেউবা সুফি আকিদায় বিশ্বাসী হয়ে ঈমান হারিয়ে ফেলছে। এছাড়া যারা ঈমান ধরে রাখার চেষ্টা করছে তারা আবার বিভিন্ন মাযহাবে তাকলিদ এবং বিদআতি কার্যকলাপের মাধ্যমে আমল নষ্ট করে ফেলছে।
যারা বেদাত করে তারা মনে করে যে তারা সৎ কাজ করছে কিন্তু তা কবুল হয় না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'প্রত্যেক বিদাতি গোমরাহী এবং গোমরার পরিমাণ জাহান্নাম'। বিদআতিদের পরিনাম দুনিয়াতে যেমন নিকৃষ্ট তেমনি পরকালেও ভয়াবহ।
তাই আমাদের প্রত্যেকের বিদাত প্রত্যাখ্যান করে সহীহ সুন্নাহ মোতাবেক জীবন যাপন করা উচিত।
গোঁড়ামিঃ বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা অনেকাংশে মুসলমানদের গোড়ামির কারণেও হয়ে থাকে। মানুষ নিজে যেটা বোঝে সেটাতেই অটল থাকে। আরে গোড়ামির কারণে সে হক গ্রহণে বাধাগ্রস্ত হয়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোড়ামী তথা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি পছন্দ করতেন না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করতেন। গোড়া ব্যাক্তি কখনোই একজন পরিপূর্ণ ঈমানদার হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। গোঁড়ামি ঈমান, আমল এবং দ্বীনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই আমাদের সকলের উচিত গোঁড়ামি না করে পরিপূর্ণ ঈমানদার ব্যক্তি হয়ে গড়ে ওঠা।
জিহাদের প্রকৃত অর্থ না বোঝাঃ ইসলামী রাষ্ট্রকে জালেমের হাত থেকে রক্ষা করার নাম হচ্ছে জিহাদ। আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত করার সর্বাত্মক ভাবে চেষ্টা চালানোর নাম হলো জিহাদ। গাড়ি ভাঙচুর করা, আগুন দেওয়া, অন্যায় ভাবে মানুষকে হত্যা করা, ককটেল ফোঁটানো এগুলো জিহাদ নয়।
জিহাদ করা মুসলমানদের জন্য ফরজের মধ্যে একটি অন্যতম ফরজ, যার মাধ্যমে দেশে সঠিক দ্বীন প্রচার করা যায়।
অপসংস্কৃতির অনুসরণঃ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন কালচার এখন মুসলমানদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। রাস্তায় চলতে গেলে কোনটা ছেলে কোনটা মেয়ে বোঝা মুশকিল। ছেলেরা টাকনুর নিচে কাপড় পরা, দাঁড়ি চাচা এগুলো এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তেমনি মেয়েরা ছেলেদের পোশাক পরা, ভ্রু প্লাক করা, অর্ধনগ্ন পোশাক পরে বাইরে বের হওয়া এগুলো সবই মুসলমানদের জন্য খারাপ। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'পুরুষের বেশধারী নারী এবং নারীর বেশধারী পুরুষ জাহান্নামী'।
এছাড়া বিভিন্ন স্কুল কলেজ এমনকি মাদ্রাসাতেও শিক্ষকদের দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদান করা হয় যা বিজাতীয় সংস্কৃতি। এছাড়াও বিজাতিদের সংস্কৃতি অনুসরণ করে পোশাক পরিধান করা ইসলামে হারাম।
আসুন আমরা ইসলামের সঠিক পথ অনুসরণ করি। ইসলাম যেটাকে নিষিদ্ধ করেছে সেটা বর্জন করা এবং যেটা করতে বলেছে সেটা গ্রহণ করার মাধ্যমেই আমরা আমাদের পুরনো ঐতিহ্য ফিরইয়ে আনতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী দেশ কোনটি

গোটা বিশ্বে ২৩ টি দেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী দেশ কোনটি? যেসব দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সে সব দেশের নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, মিশর, ইরাক, ইরান, জর্ডান, লিবিয়া, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, মৌরি তানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সোমালিয়া, তিউনিশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন এবং বাংলাদেশ।

সবচেয়ে বেশি মানুষ কোন ধর্মের রূপান্তরিত হয়

সবচেয়ে বেশি মানুষ কোন ধর্মের রূপান্তরিত হয় এমন প্রশ্নের উত্তর হিসেবে আমরা বলতে পারি, ইসলাম ধর্ম বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান ধর্ম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মানুষ নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। ৩০ বছর আগে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ১২০ কোটি তা এখন বেড়ে হয়েছে 180 কোটিি।
ইসলাম ধর্ম পৃথিবীর অন্যান্য ধর্ম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে নবীন। আর ইসলাম ধর্মের সম্রাজ্য এত বড় যা ধারণার বাইরে। ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন গুনাগুন মানুষকে মুগ্ধ করে, যার কারণে মানুষ অন্যান্য ধর্ম বাদ দিয়ে ইসলাম ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা ইসলাম ধর্মকে একমাত্র পরিপূর্ণ এবং তার মনোনীত ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

লেখক এর মন্তব্য

মুসলমানদের সোনালী দিনের কথা আজ মুসলমানরা ভুলে গেছে। মুসলমানরা তাদের কুরআন হাদিস থেকে অনেক দূরে সরে যাওয়ার কারণে বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা এত ভয়াবহ। পুরো বিশ্বে মুসলমানরা বর্তমানে নির্যাতিত ও নিপরিত হচ্ছে।

প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত কুরআন এবং হাদিস দ্বারা জীবন পরিচালিত করা এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে জীবনযাপন করা, তাহলে মুসলমানরা আবার তাদের সেই হারানো সোনালী দিন ফিরে পেতে সক্ষম হবে।
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ ধরে আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। এরকম তথ্যপূর্ণ ও আপনার প্রিয় পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েব সাইটটি বেশি বেশি ভিজিট করুন এবং কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন আর শেয়ারের মাধ্যমে আপনার প্রিয়জনদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url